সরকার আইনের সুশাসন প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর: শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বর্তমান সরকার আইনের সুশাসন প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর। রাষ্ট্রের অন্যতম লক্ষ্য ও দায়িত্ব হলো নাগরিকের জন্য আইনের শাসন, সমতা, অর্থনৈতিক ও সামাজিক অধিকারসহ মৌলিক মানবাধিকার নিশ্চিত করা। রোববার (২৮ এপ্রিল) ‘জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস ২০২৪’ উপলক্ষ্যে আজ দেওয়া এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।

এ সময় আইনগত সহায়তা কার্যক্রমের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলকে শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য- ‘স্মার্ট লিগ্যাল এইড, স্মার্ট দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ’ অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক ও সময়োপযোগী।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতীয় মুক্তির ঐতিহাসিক সংগ্রাম ও নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশের জনগণ স্বাধীনতা অর্জন করেছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের প্রধান লক্ষ্য ছিলো এমন এক শোষণমুক্ত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা যেখানে সকল নাগরিকের জন্য আইনের শাসন, মৌলিক মানবাধিকার এবং সুবিচার নিশ্চিত হবে।

তিনি বলেন, সেই লক্ষ্যে ১৯৭২ সালের সংবিধানে তিনি মানুষের মৌলিক অধিকার হিসেবে আইনের দৃষ্টিতে সমতা, আইনের আশ্রয় লাভের অধিকার, গ্রেপ্তার ও আটক সম্পর্কে রক্ষাকবচ, বিচার ও দণ্ড সম্পর্কে রক্ষণ, সম্পত্তির অধিকারসহ ১৮টি মৌলিক অধিকার সন্নিবেশিত করেন। কিন্তু জাতির পিতার নির্মম হত্যাকাণ্ড, সামরিক শাসন এবং স্বৈরাচারী, গণবিরোধী ও স্বাধীনতাবিরোধী শক্তির ক্ষমতা দখল জনগণের সেই স্বপ্নের বাস্তবায়নকে বারবার দূরে সরিয়ে দিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, “বর্তমান সরকার জনগণের বিপুল ম্যান্ডেট নিয়ে সকল দুঃশাসন ও অব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে সর্বাত্মক যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়ে বাংলাদেশকে অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রায় উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ করেছে। ‘আমরা ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তুলব এবং এ সময়ে বাংলাদেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে উন্নীত করব।”

সরকারপ্রধান বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশে সরকারি কার্যক্রম ও সেবাসমূহ হবে সাশ্রয়ী, টেকসই, জ্ঞানভিত্তিক, বুদ্ধিদীপ্ত ও উদ্ভাবনি। টেকসই উন্নয়নের এ অগ্রযাত্রায় ন্যায়বিচারে অভিগম্যতা নিশ্চিত করার জন্য ‘জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থা’ সারা বাংলাদেশের আর্থিকভাবে অসচ্ছল, সহায়-সম্বলহীন এবং নানাবিধ আর্থসামাজিক কারণে বিচার প্রাপ্তিতে অসমর্থ বিচারপ্রার্থী জনগণকে আইনগত সহায়তা প্রদান করছে।

শেখ হাসিনা বলেন, সরকারি আইনগত সহায়তাকে আরও টেকসই, উদ্ভাবনী, জনবান্ধব এবং পক্ষদের আইনগত বিরোধ দ্রুত নিষ্পত্তি ও সাশ্রয়ী করার লক্ষ্যে জেলা লিগ্যাল এইড অফিসকে ‘বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির কেন্দ্রস্থল’ হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে। সাধারণ মানুষের আইনগত সচেতনতা বৃদ্ধিতে লিগ্যাল এইড অফিসসমূহ আইনগত পরামর্শ সেবা দিয়ে মামলাজট নিরসনে অগ্রণী ভূমিকা রাখছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার আইনের শাসন ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। ‘আইনের সুশাসন প্রতিষ্ঠায় আমরা বদ্ধপরিকর’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, টেকসই উন্নয়নের অভীষ্ট লক্ষ্য, শান্তি, ন্যায়বিচার ও কার্যকর প্রতিষ্ঠান বাস্তবায়নে সকলের জন্য ন্যায়বিচার প্রাপ্তির পথ সুগম করার জন্য আইন ও বিচার বিভাগ ‘জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থা’র মাধ্যমে কার্যকর ভূমিকা রাখছে।

তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, স্মার্ট লিগ্যাল এইড, স্মার্ট সরকার, স্মার্ট সমাজ এবং সর্বোপরি, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলবে। সকলের সমন্বিত উদ্যোগেই অচিরেই সুশাসন নিশ্চিত করে আমরা বাংলাদেশকে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশে পরিণত করতে সক্ষম হব।’

শেখ হাসিনা ‘জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস ২০২৪’র সার্বিক সাফল্য এবং এ উপলক্ষ্যে গৃহীত সকল কর্মসূচির সর্বাঙ্গীণ সফলতা কামনা করেন।





বাংলাদেশ

বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম পরিদর্শন শেষে যেসব সমস্যা পেলেন ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী হয়ে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন নাজমুল হাসান পাপন। এরপর তিনি দেশের ৫৫টি ফেডারেশনের সঙ্গে আলোচনা করে বিভিন্ন সমস্যা খুঁজে পান। সমস্যা সমাধানের আশ্বাসও দেন।

এবার বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের সংস্কার কাজ পরিদর্শন করতে গিয়ে নানা সমস্যা চোখে পড়ে ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীর।

বৃহস্পতিবার (০৮ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম পরিদর্শন করেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী নাজমুল হাসান পাপন। যেটি ব্যবহার করে থাকে ফুটবল ও অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশন।

তবে এই স্টেডিয়ামের বেশ কিছু সমস্যা নিয়ে অভিযোগ করে আসছিল বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। বিশেষ করে পানি ছিটানোর পদ্বতি।

এদিনও নতুন মন্ত্রীর সামনে একই অভিযোগ তোলে তারা। বাফুফের দাবি স্প্রিংলার বদলে পপ-আপ সিস্টেমে পানি দেয়ার। এতে কোটি টাকা পুনরায় ব্যয় প্রয়োজন। এজন্য আবার নতুন অনুমোদন প্রয়োজন।

ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বলেন, যেহেতু এটা নতুন স্থাপনা, সমস্যার সমাধান করতে গিয়ে আমরা আর বিলম্ব করতে চাই না। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই শেষ করতে চাই। এর মধ্যে যতটুকু সমাধান করা যায় করা হবে। না হলে নেই, কারণ এটা নতুন স্টেডিয়াম নির্মাণাধীন স্টেডিয়ামের সংস্কার তাই অনেক কিছুই করা সম্ভব হয়তো নয়।

গ্রাউন্ডস কমিটির চেয়ারম্যান, কম্পিটিশন ম্যানেজার জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ-মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সামনে জোরালো দাবি জানিয়েছে বিদ্যমান পানি ছেটানোর পদ্ধতিকে। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব ড.মহিউদ্দিন আহমেদ আবার ফেডারেশনেক কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন এত বিলম্বে দৃষ্টি আকর্ষণ করায়।

প্রতিটি স্টেডিয়ামের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ মিডিয়া বক্স। নতুন সংস্কারে বক্সের মধ্যে বেশ কয়েকটি পিলার দৃশ্যমান। ইলেকট্রনিক ক্যামেরাম্যানদের জন্য বিশেষ জায়গা না থাকা নিয়ে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করে ক্রীড়া মন্ত্রীর কাছে।

জবাবে তিনি বলেন, এখানে এসে যা দেখলাম মূলত দু’টি সমস্যা। একটি স্প্রিংলার (মাঠে পানি দেওয়ার মাধ্যম) আরেকটি মিডিয়া বক্স। সমস্যা টা বুঝলাম। সমস্যা আছে অস্বীকার করার পথ নেই। সমাধানের পথ আছে কিনা দেখব, সম্ভব হলে অবশ্যই করব। তবে খুব একটা অসম্ভব বলে মনে হয় না।

বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে সংস্কার কাজ শুরু হয়েছে ২০২১ সালের আগস্টের পর থেকে। আড়াই বছর পর এসে ফেডারেশন-এনএসসি পারস্পরিক ভিন্ন বক্তব্য দিচ্ছে। তাই কাজ না দেখে সমস্যা সংক্রান্ত বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চান না পাপন।

পাপন বলেন, কারো সঙ্গে কথা না বলে মন্তব্য করা ঠিক হবে না। কারণ কথা বলতে গেলে, এনএসসি, কনসালটেন্ট এবং ফেডারেশনের মধ্যে কারো উপরে পড়বে। তাই ডকুমেন্ট না দেখে মন্তব্য করা যাবে না। যে সমস্যা আছে সেগুলো সমাধান করা।

স্টেডিয়াম পরিদর্শন শেষে পাপন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সাবেক অফিস পরিদর্শন করে। বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে বিসিবির প্রধান কার্যালয় ছিল। এই অফিস থেকে বাংলাদেশের টেস্ট-ওয়ানডে প্রাপ্তি সহ অনেক ইতিহাসের জন্ম। বিসিবির পুরনো অফিস ঘুরে দেখান ক্রীড়া সাংবাদিকরা। বিসিবির সাবেক কার্যালয় এখন ক্রীড়া লেখক সমিতির নতুন অফিস।

দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা যে অঞ্চলে রেকর্ড হয়েছে

কয়েক দিন ধরেই দেশের উত্তরের জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হচ্ছে । বুধবার (০৬ ডিসেম্বর) দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় জেলায় রেকর্ড করা হয়েছে। কমতে শুরু করেছে রাতের তাপমাত্রা। দিনের তাপমাত্রা স্বাভাবিক থাকলেও সন্ধ্যা নামলেই উত্তর হিমালয় দিকে থেকে বয়ে আসা হিমেল হাওয়ায় শীত অনুভূত হয়।

বুধবার (০৬ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে তেঁতুলিয়ায় ১৪.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মঙ্গলবার (০৫ ডিসেম্বর) রেকর্ড করা হয়েছে ১৩.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস আর সোমবার রেকর্ড হয়েছে ১৩.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী, নভেম্বর থেকে উত্তরের পঞ্চগড় জেলার সীমান্তবর্তী উপজেলা তেঁতুলিয়ায় শীত পড়তে শুরু করেছে। তাপমাত্রা বর্তমানে ১৪-১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে রেকর্ড হচ্ছে। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ে শীতের প্রকোপ।

জানা গেছে, মঙ্গলবার (০৬ ডিসেম্বর) দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল সীতাকুণ্ড ও সন্দ্বীপে ৩১.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ ছাড়া ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩০.৩ রাজশাহীতে ৩০.০, রংপুরে ২৯.৫, ময়মনসিংহে ২৮.৫, সিলেটে ২৯.৫, চট্টগ্রামে ৩০.৫, খুলনায় ২৮.০ ও বরিশালে ২৮.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
 

ট্রাক পিষে দিলো মা ও শিশু মেয়েকে

নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলায় সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে মা-মেয়ে নিহত হয়েছে। এ দুর্ঘটনায় সিএনজিচালকসহ আরও দুই সিএনজিযাত্রী আহত হন।

নিহতরা হলেন উপজেলার চরওয়াপদা ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব চরজব্বর গ্রামের শুক্কুর আলীর স্ত্রী শিল্পী আক্তার (৩০) ও তার মেয়ে শারমিন (২)।

শুক্রবার (০১ ডিসেম্বর) দুপুর পৌনে ১২টার দিকে উপজেলার সোনপুর-চেয়ারম্যানঘাট সড়কের আটকোপালিয়া বাজারসংলগ্ন দারোগা মোড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন উপজেলার ১ নম্বর চরজব্বর ইউনিয়নের পশ্চিম চরজব্বর গ্রামের মৃত আইয়ুব আলী মেম্বারের ছেলে মো. ফারুক (৩২) একই গ্রামের মো. মোস্তফার ছেলে মো. আবদুল্লাহ (৩০)।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, সুবর্ণচরের চেয়ারম্যান ঘাট থেকে একটি যাত্রীবাহী সিএনজিচালিত অটোরিকশা সোনাপুরের উদ্দেশে ছেড়ে আসে। সিএনজিটি সোনাপুর-চেয়ারম্যানঘাট সড়কের আটকপালিয়া বাজারসংলগ্ন দারোগা মোড়ে পৌঁছলে নিয়ন্ত্রণ হারায়, এসময় বিপরীত দিক থেকে আসা ট্রাকের সাথে সংঘর্ষে সিএনজিটি দুমড়ে-মুছড়ে গিয়ে শিশু শারমিন ঘটনাস্থলে মারা যায়। পরে স্থানীয়রা তার মাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

চরজব্বর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আমিনুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, স্থানীয়রা ট্রাক ও সিএনজি আটক করে রাখে, খবর পেয়ে আটক সিএনজি-ট্রাক জব্দ করে থানায় নেওয়া হয়। এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

হিরো আলম

ভুল করে ভুল দলের মনোনয়ন তুলেছিলেন হিরো আলম

এক দিনের ব্যবধানে দল পাল্টে ফেলেছেন আলোচিত ইউটিউবার আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলম। বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনে গণঅধিকার পার্টি থেকে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন তিনি।

আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে বগুড়ার জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা সাইফুল ইসলামের কাছে হিরো আলমের পক্ষে তাঁর ব্যক্তিগত সহকারী সুজন রহমান শুভ মনোনয়নপত্র জমা দেন।

গতকাল বুধবার বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করলেও জমা দিয়েছেন বাংলাদেশ কংগ্রেস দলের হয়ে।

হিরো আলম বলেন, ‘সুপ্রিম পার্টি নাম দিয়ে ভুল করে মনোনয়ন তুলেছিলাম। পরে সেখান থেকে নাম সরিয়ে বাংলাদেশ কংগ্রেস দল থেকে মনোনয়ন দাখিল করেছি। এই দলে এবার আমার মার্কা ডাব।’

এর আগে গত ফেব্রুয়ারি মাসে বগুড়া-৬ (সদর) ও বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনে উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিলেন হিরো আলম।

পরে ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনেও অংশ নেন তিনি।

ছবি : সংগৃহীত

রাজশাহীতে আদালত চত্বরে ককটেল বিস্ফোরণ

  • রাজশাহীতে আদালত চত্বরে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে
  • এতে একজন আহত হয়েছেন। পরে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে

আন্তর্জাতিক

গাজার ধংসস্তূপ পরিষ্কারে লাগবে ১৪ বছর

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরাইলের নির্বিচার হামলায় যে পরিমাণ ধ্বংসস্তূপ তৈরি হয়েছে তা অপসারণে ১৪ বছর সময় লাগতে পারে। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) জেনেভায় এক বিফ্রিংয়ে জাতিসংঘের এক জ্যৈষ্ঠ কর্মকর্তা এ তথ্য জানিয়েছেন। খবর রয়টার্সের।

জাতিসংঘের জ্যৈষ্ঠ কর্মকর্তা পেহর লোধাম্মার বলেন, হামাস-ইসরাইল সংঘাতের ফলে প্রায় ৩ কোটি ৭০ লাখ টন ধ্বংসাবশেষ তৈরি হয়েছে। যা ব্যাপক ঘনবসতিপূর্ণ উপকূলীয় অঞ্চলে পড়ে আছে।

তিনি বলেন, গাজায় পাওয়া অবিস্ফোরিত গোলাবারুদের সঠিক সংখ্যা নির্ধারণ করা প্রায় অসম্ভব। তারপরও ধ্বংস হওয়া ভবনগুলোর ধ্বংসাবশেষসহ পুরো ধ্বংসস্তূপ পরিষ্কার করতে ১৪ বছরের মতো সময় লাগতে পারে।

জাতিসংঘের এই কর্মকর্তা বলেছেন, আমরা জানি, সাধারণত স্থল বাহিনীর ছোড়া গোলাবারুদের অন্তত ১০ শতাংশ অবিস্ফোরিত অবস্থায় থেকে যায়। আমরা ১০০টি ট্রাক ব্যবহার করে ১৪ বছর ধরে পরিষ্কার কাজ চালানোর কথা বলছি।

প্রসঙ্গত, ৭ অক্টোবর হামাস নেতৃত্বাধীন হামলায় প্রায় ১২০০ জন নিহত এবং ২৫০ জনেরও বেশি মানুষকে জিম্মি নেওয়া হয়েছিল। তার উত্তরে ইসরাইলের পাল্টা আক্রমণ চালায়।

হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এর ফলে ৩৪ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। যুদ্ধ বিধ্বস্ত অঞ্চলটির বিরাট অংশ ধ্বংস হয়ে গিয়েছে এবং বহু ফিলিস্তিনি খাবারের দুর্ভিক্ষের মুখে পড়েছে।




বিনোদন

লুবাবা'র বক্তব্য নিয়ে মুখ খুললেন দিশা'র মা!

সিমরিন লুবাবা। খুব অল্পবয়সেই বেশকিছু বিজ্ঞাপনচিত্রের পাশাপাশি নাটক ও সিনেমায় অভিনয় করেছে। কিন্তু এই শিশুশিল্পী বিভিন্ন সময়ে সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দিলেও নিজের যোগ্যতা বা কাজ দিয়ে আলোচনায় আসতে পারেনি। নাটক, সিনেমা, বিজ্ঞাপনচিত্র বা অন্য কোনো জায়গায় নিয়মিত দেখা না গেলেও বিভিন্ন টিভি চ্যানেল বা ইউটিউবারদের সাক্ষাৎকারে নিয়মিত দেখা যায় তাকে। মূলত সাক্ষাৎকারের প্রশ্নে সঠিক উত্তর না দেওয়া বা অতিরিক্ত পাকনামির কারণেই প্রায়ই সে সমালোচনা ও বিতর্কের তুঙ্গে থাকে।

সম্প্রতি আরও একটি সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে ফের সমালোচনার মুখে এই ভাইরাল শিশু শিল্পী। জনপ্রিয় শিশু শিল্পী দিশা মনিকে উদাহরণ দিয়ে সাংবাদিক এক প্রশ্ন করলে দিশাকে চিনতে না পেরে উল্টো সাংবাদিককেই প্রশ্ন করে বসে লুবাবা। অথচ তারা এক সঙ্গে কাজও করেছে। উত্তরের একপর্যায়ে টিকটকার দাবি করে চিনতে পারে লুবাবা।

সাক্ষাৎকারে লুবাবা'র এমন মন্তব্য চোখে পড়ে দিশা মনির মা রিমা ইসমাথ ডেইজি'র। এরপর ক্ষোভ প্রকাশ করে নিজের ফেসবুকে দীর্ঘ স্ট্যাটাস দেন তিনি। স্ট্যাটাসে লুবাবা'র পারিবারিক শিক্ষা ও তার ঝুলিতে কয়টি নাটক  সিনেমা আছে - এমন প্রশ্ন তোলেন দিশা'র মা।

স্ট্যাটাসে লুবাবা'র প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে দিশা'র মা ডেইজি লিখেন, দিশা'র ২০০+ নাটক, সিনেমা, বিজ্ঞাপন রয়েছে। দিশা ৩ বছর বয়স থেকে কাজ করে শিশুশিল্পী হিসেবে। এই মেয়ে ইন্টারভিউতে দিশাকে চিনে না, দিশাকে টিকটকার বলে। আমি জানতে চাই লুবাবা'র ঝুলিতে কয়টা নাটক, সিনেমা আছে?। দিশা'র সাথে অনেক আগে থেকে পরিচয়, বিজ্ঞাপনে একসাথে শুটিংও করেছে। মিট ও হয়েছে তাদের। দিশা কে সে ভালো করেই জানে।

অতীতের কথা টেনে তিনি স্ট্যাটাসে আরও লিখেন, দিশাকে দেশ টিভির একটা ইন্টারভিউ তে প্রশ্ন করা হয়েছিলো - লুবাবা কেন্দে দিয়েছি যে বললো এটা নিয়ে কি বলবা ?। দিশা বলেছে আমরা ছোটো মানুষ আমাদের ভুল হতেই পারে এটা নিয়ে এত বড় করে দেখার কিছু নেই। তিনি আরও বলেন, একটা নাটকে দিশাকে ডায়ালগ দিয়েছিলো ‘কেন্দে দিয়েছি’, সেখানে দিশা ডায়ালগ দেয়নি, এটা নিয়ে ডিরেক্টর এর সাথে আমার ক্যাচাল হয়, কারন দিনশেষে তারা কো আর্টিস্ট।

দিশা'র মা স্ট্যাটাসে উপদেশ ও পারিবারিক শিক্ষা নিয়ে বলেন, কাউকে ছোটো করে কেউ উপড়ে উঠতে পারেনা। পারিবারিক শিক্ষাটা আসল। রানু মন্ডল, কাঁচাবাদাম ওয়ালাও ভাইরাল হয়েছে কিন্তু ভাইরাল এক জিনিস, জনপ্রিয়তা এক জিনিস। দিশা সবার ভালোবাসার, তাকে সবাই ভালোবাসে। দিশা বাংলাদেশের এক নাম্বার জনপ্রিয় শিশুশিল্পী যাকে কোটি মানুষ ভালোবাসে।

এই পোস্টের কমেন্ট বক্সে অনেক নেটিজেনই মন্তব্য করেছেন। কেউ লিখেছেন, আমি বুঝি না অন্য কে ছোট করে কি মজা পায়! অহংকার মানুষকে ধ্বংস করে, আরেক নেটিজেন লিখেছেন, ওদের তো মানসিক সমস্যা আছে। অন্যদিকে চিত্রনায়িকা শিরিন শিলা মন্তব্য করে বলেন, অহংকার পতনের মূল। যারা অহংকার করে অন্যকে ছোট করে, তারা কোনদিন বড় হতে পারবে না। এছাড়া দিশাকে সমর্থন বা শুভ কামনা প্রকাশ করেন অনেক মন্তব্যকারী।

উল্লেখ্য, প্রয়াত মঞ্চ ও টেলিভিশন অভিনেতা আব্দুল কাদেরের নাতনি এই সিমরিন লুবাবা। দাদার অভিনয় দেখে এবং তার অনুপ্রেরণায় শোবিজ অঙ্গনে আসলেও দাদার মতো অভিনয় দিয়ে দর্শকদের মন জয় করতে পারেনি এখনও।