হোয়াইট হাউসের ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশের নির্বাচন প্রসঙ্গ

  নিজস্ব প্রতিবেদক
  প্রকাশিতঃ সকাল ১০:১২, বৃহস্পতিবার, ১১ জানুয়ারি, ২০২৪, ২৭ পৌষ ১৪৩০

বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে ৭ জানুয়ারি। ইতোমধ্যে জয়ী সংসদ সদস্যরা শপথ গ্রহণ করেছেন। মন্ত্রিসভার তালিকাও প্রকাশ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় তারা শপথ নেবেন।

বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে ভারত, চীন, রাশিয়াসহ বেশ কয়েকটি দেশ ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তবে নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি বলে মন্তব্য করেছে যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্য। এবার বাংলাদেশের নির্বাচন প্রসঙ্গ উঠল হোয়াইট হাউসের ব্রিফিংয়েও।

স্থানীয় সময় বুধবার (১০ জানুয়ারি) হোয়াইট হাউসে অনুষ্ঠিত ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশের সদ্যসমাপ্ত নির্বাচন এবং বিরোধীদলের ওপর সরকারের অব্যাহত দমননীতির প্রসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান জানতে দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের (এনএসসি) স্ট্র্যাটেজিক কমিউনিকেশনের সমন্বয়ক অ্যাডমিরাল জন কিরবিকে প্রশ্ন করা হয়।

কিরবি বলেন, আমরা এখনও বিশ্বজুড়ে সক্রিয় এবং গতিশীল গণতন্ত্রের প্রাতিষ্ঠানিকতাকে সমর্থন করি। বাংলাদেশের জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণের প্রত্যাশার জায়গা থেকে আমাদের কোনো নড়চড় হয়নি। আমাদের সেই প্রত্যাশায় অবাধ, সুষ্ঠু, স্বচ্ছ এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিত করাও অন্তর্ভুক্ত।

এ সময় নোবেলজয়ী বাংলাদেশি অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কারাদণ্ড প্রসঙ্গে কিরবিকে প্রশ্ন করা হলে সরাসরি তিনি উত্তর দেননি। পরে কিরবি বলেন, তিনি এই প্রশ্নগ্রহণ করেছেন এবং পরবর্তীতে লিখিতভাবে তার উত্তর জানাবেন।

এর আগে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের আস্থাভাজন সংসদ সদস্য শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী পদে নিয়োগের সিদ্ধান্ত দিয়ে তার নেতৃত্বে নতুন মন্ত্রিসভা গঠনের জন্য সম্মতি দেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। পরে জারি করা হয় প্রজ্ঞাপন।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বাংলাদেশের সংবিধানের ৫৬ অনুচ্ছেদের (৩) দফা অনুযায়ী দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের আস্থাভাজন সংসদ সদস্য শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী পদে নিয়োগের সিদ্ধান্ত প্রদান করেছেন এবং তার নেতৃত্বে নতুন মন্ত্রিসভা গঠনের জন্য সম্মতিজ্ঞাপন করেছেন। নতুন মন্ত্রিসভা গঠনের সঙ্গে সঙ্গে বর্তমান মন্ত্রিসভা ভেঙে দেওয়া হয়েছে বলে গণ্য হবে।

Share This Article