রেলওয়েতে দুর্নীতির প্রমাণ, দুদক সিদ্ধান্ত নিলেই মামলা

সম্প্রতি রেলওয়ের ঢাকা ও রাজশাহীর সদর দপ্তরে অভিযান চালিয়ে কেনা–কাটায় দুর্নীতির তথ্য পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) এনফোর্সমেন্ট টিম।

এখন কমিশন সিদ্ধান্ত নিলেই সংস্থাটি রেল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে মামলা করবে বলে জানিয়েছেন দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।

চট্টগ্রাম রেলওয়ের বৈদ্যুতিক প্রকোশলীর কার্যালয়ের জন্য একেকটি এলইডি লাইট কেনা হয়েছে পাঁচ গুণেরও বেশি দামে ২৭ হাজার সাত শ টাকায়।

যার বাজার মূল্য পাঁচ হাজার টাকার বেশি নয়। সম্প্রতি দুদকের এক অভিযানে মিলেছে শত কোটি টাকা হরিলুটের এমন তথ্য।

লিফটিং জ্যাক, ড্রিলিং মেশিন ও কাটিং জ্যাক ক্রয় সংক্রান্ত নথিপত্রে পণ্যের উচ্চমূল্য দেখা যায়।

তথ্য-উপাত্ত পর্যালোচনা করে দুদকের আইনজীবী বলছেন, আদালতে উপস্থাপনযোগ্য যথেষ্ট প্রমাণ এই অভিযানে পাওয়া গেছে।

এ বিষয়ে দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান জানান, রেলওয়ে সরকারি প্রতিষ্ঠান। এ খাতে কেনা-বেচায় অনিয়মের ব্যাপারে দুদক অবশ্যই অনুসন্ধান চালাতে পারে।

রেল বিভাগে দুর্নীতির কথা স্বীকার করে রেলমন্ত্রী জিল্লুল হাকিম বলেন, অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে। এ ছাড়া সার্বিক দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণে নেওয়া হবে ব্যবস্থা।

দুর্নীতি বিরোধী আন্তর্জাতিক সংস্থা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) বলছে, সরকারি কেনা-কাটায় পুকুর চুরির মতো অনিয়ম নিয়মিত হয়ে গেছে।