‘অর্থপাচারে জড়িত ৭ ব্যাংক ও দুই মানি এক্সচেঞ্জার’

  নিজস্ব প্রতিবেদক
  প্রকাশিতঃ সন্ধ্যা ০৬:৩২, মঙ্গলবার, ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪, ২৩ মাঘ ১৪৩০

দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সচিব মো. মাহবুব হোসেন জানিয়েছেন, অর্থপাচারের সঙ্গে ৭ ব্যাংক ও দুটি মানি এক্সচেঞ্জার জড়িত। মঙ্গলবার (০৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনিস।

মো. মাহবুব হোসেন বলেন, সংশ্লিষ্ট ব্যাংক এবং মানি এক্সচেঞ্জার প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা দুদকের নজরদারিতে রয়েছে। সোমবার (০৫ ফেব্রুয়ারি) দিনব্যাপী অভিযান পরিচালনার সময় বিদেশি মুদ্রার কালোবাজারির সাথে জড়িত ব্যাংক ও মানি এক্সচেঞ্জারদের একটি সংঘবদ্ধ চক্রের সন্ধান পায় দুদক।

দুদক সচিব জানান, অর্থ পাচারের সঙ্গে জড়িত ব্যাংকগুলো হলো- জনতা ব্যাংক, সোনালী ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংক, মিচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, পূবালী ব্যাংক, প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক, যমুনা ব্যাংক এবং এভিয়া মানি এক্সচেঞ্জার ও ইমপেরিয়াল মানি এক্সচেঞ্জার। এ ছাড়াও আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে নজরদারিতে রাখা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

তিনি বলেন, প্রবাসী ওয়েজ আর্নার্স ও বিমানের যাত্রীরা হযরত শাহ জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যে রেমিটেন্স নগদ ও বৈদেশিক মুদ্রায় নিয়ে আসেন তা ব্যাংকিং চ্যানেলে রাষ্ট্রীয় রিজার্ভে জমা হওয়ার কথা। কিন্তু অসাধু কর্মকর্তারা ব্যাংকের টাকা ব্যবহার করে তা ব্যাংকিং চ্যানেলে সংগৃহীত না দেখিয়ে নিজেরাই ক্রয় করে মার্কেটে বিক্রি করে দেন। যা পরবর্তীতে মানিলন্ডারিংয়ের মাধ্যমে আবার বিদেশে পাচার হয়ে যায়।

তিনি বলেন, প্রতিদিন হাজার হাজার প্রবাসী কর্মজীবী ও বিদেশ থেকে বাংলাদেশে ভ্রমণকারীরা বিমানবন্দর হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেন। এ সময় তারা তাদের সাথে থাকা বিদেশি মুদ্রা বিমান বন্দরের ব্যাংকের বুথ ও মানি এক্সচেঞ্জারে দেশীয় মুদ্রা বাংলাদেশি টাকায় এনকেশমেন্ট করেন।

নিয়ম অনুযায়ী ফরেন কারেন্সি এনকেশমেন্ট ভাউচার এনকেশমেন্টকারীকে দিতে হয়। কিন্তু ব্যাংক ও মানি এক্সচেঞ্জাররা ভাউচার না দিয়ে বা জাল ভাউচার দিয়ে সরাসরি বৈদেশিক মুদ্রা গ্রহণ করে বিনিময়ে টাকা দিয়ে দেন। এ ছাড়াও তারা স্বাক্ষরবিহীন ভুয়া ভাউচার দেন। এই বিদেশি মুদ্রা ক্রয়কারী ব্যাংক ও মানি এক্সচেঞ্জার প্রতিষ্ঠান তাদের প্রতিষ্ঠানের অনুমোদিত একাউন্টে অন্তর্ভুক্ত করেন না।

ফলে বিদেশি মুদ্রার কেন্দ্রীয় রিজার্ভে এ সকল বিদেশি মুদ্রা যুক্ত হয় না। যার কারণে বাংলাদেশ বিদেশি মুদ্রার ঘাটতি বা সংকটের সৃষ্টি হয়। এভাবে দিনে অন্তত শতকোটি টাকা মূল্যের বৈদেশিক মুদ্রা থেকে ব্যাংকিং খাত বঞ্চিত হচ্ছে। যা পরে পাচার হয়ে যায়।

দুদক সচিব বলেন, এই চক্রের সঙ্গে আরও কারা কারা জড়িত সেটি যাচাই-বাছাই চলছে। যাচাই-বাছাই শেষে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Share This Article


ভুয়া নারী সাংবাদিকের খপ্পরে নারী এমপি প্রার্থীরা

নিহত হাফিজুল

রাজধানীর সার্ক ফোয়ারা মোড়ে হাতাহাতিতে যুবকের মৃত্যু

জাবির হলে স্বামীকে আটকে স্ত্রীকে ধর্ষণ, উত্তাল ক্যাম্পাস

ববির সাবেক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ভয়ভীতি দেখিয়ে সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টার অভিযোগ

ছদ্মবেশে পাসপোর্ট অফিসে দুদক, ৩ আনসার প্রত্যাহার

১৫ বছরে ব্যাংক খাতে লোপাট ৯২ হাজার কোটি টাকা: সিপিডি

রাজশাহীতে আবাসিক হোটেল থেকে ২২ শিক্ষার্থী আটক

শাহজালালে ৮ কেজি স্বর্ণসহ আটক এক

কারাগারে বিয়ে হলো তরুণ-তরুণীর

সনদ জালিয়াতি: লাইসেন্স হারাচ্ছেন বিমানের দুই পাইলট

পবিপ্রবি

পবিপ্রবিতে অনুমোদনহীন নিয়োগের পাঁয়তারা, প্রশ্নবিদ্ধ প্রশাসন