জাল ডিগ্রি, সরকারি চাকরি: দুদকের জালে বিসিএস ক্যাডার

পিএইচডি ডিগ্রির ভুয়া সনদ ও অভিজ্ঞতার সনদে মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিসিএসের সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারে সহকারী অধ্যাপক পদে নিয়োগ পাওয়ার অভিযোগে অধ্যাপক এসএম আলমগীর কবিরের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) দুদকের সহকারী পরিচালক মো. সাইদুল ইসলাম ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০০৬ সালের ২০ এপ্রিল বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের ১০ শতাংশ সরাসরি কোটায় সহযোগী অধ্যাপক নেওয়া হবে মর্মে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে।

সে সময় ক্যামডেন ইউনিভার্সিটি ইউএসএ, মালয়েশিয়া ক্যাম্পাস থেকে পিএইচডি ডিগ্রির সনদ জমা দিয়ে তাতে আবেদন করেন এস এম আলমগীর কবীর।

তবে মালয়েশিয়াস্থ বাংলাদেশ হাই কমিশন মালয়েশিয়ার উচ্চশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সহায়তায় জানতে পারে, ওই নামে দেশটিতে রেজিস্টার্ড কোনো বিশ্ববিদ্যালয় নেই।

পিএসসির ওই বিজ্ঞপ্তিতে ৮ বছরের শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা চাওয়া হয়। তখন শিক্ষকতার অভিজ্ঞতায় ২ বছর ৩ মাস ১১ দিনের ঘাটতি থাকা সত্ত্বেও পূর্ণ অভিজ্ঞতার তথ্য দিয়ে আবেদন করে জালিয়াতির আশ্রয় নেন আলমগীর।

এর আগে তিনি বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের প্রভাষক পদে যোগদান করে চাকরি করছিলেন।

এ ছাড়া বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের প্রভাষক পদ থেকে প্রেষণে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর এপিএস এবং পরে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাই কমিশনে তৃতীয় সচিব হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।

অধ্যাপক আলমগীর কবীর বর্তমানে প্রেষণে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের প্রকল্প পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। থাকছেন রাজধানীর ইস্কাটনে অফিসার্স কোয়ার্টারে। তার বাড়ি বাগেরহাট সদরের আফরা গ্রামে।