ঢাকা কলেজে পরিবহন সংকট চরমে

  নিজস্ব প্রতিবেদক
  প্রকাশিতঃ বিকাল ০৫:১৫, রবিবার, ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪, ২৮ মাঘ ১৪৩০

ভেতরে যায়গার কমতির কারণে বাম পায়ের কিছু অংশ বাসে, এক হাত দিয়ে ধরে আছেন রেলিং। শরীরের অর্ধেকই বাসের বাইরে। ক্লাস শেষে ঝুলে ঝুলে এভাবেই বাসায় ফিরছিলেন কলেজের ছাত্ররা। প্রতিদিন এমন ভোগান্তি সইছেন ঢাকা কলেজের ছাত্ররা। যেখানে তিন হাজার ছাত্রের বিপরীতে একটি বাসের ৬০টি সিট, সেখানে এমনটি হওয়াটাই যেন স্বাভাবিক।

ঢাকা কলেজ প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে নানা বাধা পার করে আসছে। প্রায় ২৮ হাজার শিক্ষার্থীর জন্য বরাদ্দ মাত্র আটটি বাস। ফলে যে বাসে ৬০জন যাওয়া যায়, সেই বাসে রেলিং ঝুলে যাচ্ছে ১০০ জন। অনেকে বাসে ঝুলে যাওয়ারও সুযোগ পাচ্ছেন না, যেতে হচ্ছে লোকাল বাসে। ফলে শিক্ষার্থীরা শিকার হচ্ছে নানা দুর্ঘটনা, দুর্ভোগের। নষ্ট হচ্ছে সময়।

সরজমিনে দেখা যায়, দুইজনের সিটে চারজন বসছেন। বাসের মাঝখানের ফাঁকা অংশে গাড়ির গেইট পর্যন্ত দাঁড়িয়ে আছে অগণিত। গেইটে গাদাগাদি করে ১২-১৫ জন দাঁড়িয়েছেন। চার-পাঁচজন শিক্ষার্থী শুধু রেলিং ধরে ঝুলে আছেন।

শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ঢাকা কলেজে বাস সংকট প্রকট আকার ধারণ করেছে। অর্থনীতি বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র সাজিদ আহমেদ জিম বলেন, কলেজে মিরপুরের অনেক ছাত্র রয়েছে। কিন্তু বাস মাত্র একটি। এজন্য আমাদের কষ্ট সীমাহীন। বিশেষ করে গরমের দিনে অনেক কষ্ট হয়। তাই মিরপুর রুটে আরেকটা বাসের দাবি জানাচ্ছি।

ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী ইব্রাহিম মুরাদ বলেন, বাড্ডা-রামপুরাতে যে বাস রয়েছে, সেটা অনেক পুরাতন। কয়দিন পরপরেই নষ্ট হচ্ছে। মাসের বেশিরভাগ সময় বাস নষ্ট থাকে। তাই আমাদের ভোগান্তি হচ্ছে। এই রুটে একটা নতুন বাস প্রয়োজন।

কলেজ থেকে গুলিস্তান-সদরঘাট রুটে বাস না থাকার অভিযোগ করে ইসলামের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী শোভন বলেন, এই রুটে বাস না থাকায় নানা ভোগান্তির সম্মুখীন হতে হচ্ছে। কলেজ বাস না থাকায় লোকাল পরিবহনে যাতায়াত করতে হচ্ছে। লোকাল পরিবহনে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ভাড়া নিয়ে প্রায়ই ঝামেলা হয়। রাস্তায় জ্যাম থাকে। জ্যামের ভেতরে লোকাল পরিবহনগুলো দ্রুত যেতে পারে না, কিন্তু কলেজ বাস জ্যাম ক্রস করে দ্রুত চলে আসতে পারে। বাসের অভাবে ক্লাসে সঠিক সময়ে উপস্থিত হতে পারি না।

বাস সংকট বিষয়ে ঢাবি অধিভুক্ত সাত কলেজের সমন্বয়ক, ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মোহাম্মদ ইউসুফ বলেন, ‘শিক্ষার্থী হিসেবে বাস নেই বললে চলে। এই বিষয় নিয়ে কাজ করছি। এই মুহূর্তে অন্তত দুইটি বাস প্রয়োজন। ২০২০ সালে দানবীর কাদের মোল্লা চারটি বাস দিয়েছেন। এরকম পাওয়া যাবে কি না তাও দেখছি। 

Share This Article