একই দিনে বিশ্বের দুই প্রান্তে দুই ভাইয়ের সেঞ্চুরি

  ক্রীড়া প্রতিবেদক
  প্রকাশিতঃ বিকাল ০৪:০২, শুক্রবার, ২৬ জানুয়ারি, ২০২৪, ১২ মাঘ ১৪৩০

সারফারাজ খান ও মুশির খান দুই ভাই একই দিনে বিশ্বের দুই প্রান্তে সেঞ্চুরি করেছেন। তাদের পরিবারের জন্য বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) দুই দেশের দুটি শহর যেন মিলে গেল এক বিন্দুতে। এই দুই শহরের মধ্যকার দূরত্ব সাত হাজার ৬২৫ কিলোমিটার।

আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে ভারত ‘এ’ দলের হয়ে ইংল্যান্ড লায়ন্সের বিপক্ষে দ্বিতীয় আনঅফিসিয়াল টেস্টের দ্বিতীয় দিন ১৬০ বলে ১৬১ রানের ইনিংস খেলেন সারফারাজ। যেখানে ১৮টি চারের পাশে ছক্কা ৫টি।

প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ৪৫ ম্যাচে তার সেঞ্চুরি হয়ে গেল ১৪টি। সবশেষ ইনিংসটির পর তার ব্যাটিং গড় ৬৯.৮৬। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে সর্বোচ্চ ব্যাটিং গড়ের তালিকায় তিনে থাকা জর্জ হেডলির (৬৯.৮৭) থেকে সামান্য পিছিয়ে আছেন ২৬ বছর বয়সী এই ব্যাটসম্যান।

ইংল্যান্ড লায়ন্সের বিপক্ষে দুর্দান্ত এই ইনিংসে আরেকবার জাতীয় দলে ঢোকার দাবি জোরাল করলেন সারফারাজ। ভারতের ঘরোয়া ক্রিকেটে রানের বন্যা বইয়ে দিলেও তার এখনও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয়নি।

আহমেদাবাদে সারফারাজের ইনিংস যখন শেষের দিকে, ব্লুমফন্টেইনে যুব বিশ্বকাপে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তিন নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামেন তার ছোট ভাই মুশির। ফিফটি পূর্ণ করেন তিনি ৬৬ বলে। পরের পঞ্চাশ করতে লাগে স্রেফ ৩৪ বল। ১০৬ বলে ৯ চার ও ৪ ছক্কায় ১১৮ রানের ইনিংস খেলে ভারতের তিনশ ছাড়ানো সংগ্রহে বড় অবদান রাখেন মুশির। দলের বড় জয়ের পর ম্যাচ সেরার পুরস্কারও জেতেন ১৮ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার।

মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান সারফারাজ মাঝেমধ্যে লেগ স্পিন বোলিং করেন, মুশির অবশ্য পুরোদস্তুর অলরাউন্ডার। ব্যাটসম্যান তিনি ডানহাতি। তবে বোলিং করেন বাঁহাতি স্পিন। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে রঞ্জি ট্রফির ম্যাচ দিয়ে মুশিরের প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অভিষেক হয় ১৭ বছর বয়সে। মুম্বাইয়ের হয়ে ওই ম্যাচে তার সঙ্গে খেলেন বড় ভাই সারফারাজও। দুজন একসঙ্গে ব্যাটিংও করেন।

গত ডিসেম্বরে ভারতে যুব ক্রিকেটারদের চার দলের একদিনের ম্যাচের সিরিজের ফাইনালে ৪৭ বলে ১৩ ছক্কা ও ৬ চারে অপরাজিত ১২৭ রানের টর্নেডো ইনিংস খেলে আলোড়ন তোলেন মুশির। চলতি যুব বিশ্বকাপে ভারতের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে ৩ রানে আউট হলেও এবার তিনি খেললেন ম্যাচ জয়ী ইনিংস।

Share This Article