কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পলিসি এডভাইজার হচ্ছেন আবু ফরাহ নাসের
আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর পদ থেকে অবসরে যাবেন আবু ফরাহ মো. নাসের। বয়সসীমা ৬২ বছর পূর্ণ হওয়ায় ওইদিনই তার চাকরির মেয়াদ শেষ হবে। এরপর তাকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পলিসি এডভাইজার হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হবে। এজন্য সর্বশেষ বোর্ড মিটিংয়ে পলিসি এডভাইজার নামক নতুন পদ সৃষ্টি করা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি দায়িত্বশীল সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সূত্র বলছে, আবু ফরাহ মো. নাছের অবসরে গেলে বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতি প্রণয়ন ও তদারকির ক্ষেত্রে বড় ধরনের শূন্যতা তৈরি হবে। কারণ তিনি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তাদের পাশাপাশি বাণিজ্যিক ব্যাংকের শীর্ষ নির্বাহীদের কাছে অনেক বেশি গ্রহণযোগ্য। দীর্ঘদিন তিনি ‘ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি’ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক, নির্বাহী পরিচালক ও ডেপুটি গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
বিভাগটি দেশের ব্যাংক খাতের জন্য নীতি প্রণয়ন, শৃঙ্খলা রক্ষা ও তদারকিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এজন্যই আবু ফরাহ মো. নাছেরকে বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতি উপদেষ্টা পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেয়া হচ্ছে। এই পদে তিনি একবছরের জন্য দায়ত্ব পালন করবেন। দ্রুত সময়ের মধ্যে তার নিয়োগের বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের দায়িত্বশীল একাধিক কর্মকর্তা নতুন ধ্বনিকে বলেন, গত বোর্ড মিটিংয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পলিসি এডভাইজার হিসেবে নতুন পদ সৃষ্টি করা হয়েছে। আগে এই পদটি ছিলো না। এই পদে ডেপুটি গভর্নর আবু ফরাহ মো. নাসের যুক্ত হতে পারেন। ডেপুটি গভর্নর পদে থেকে পদত্যাগের পরে তিনি এই পদে যুক্ত হবেন।
তবে ডেপুটি গভর্নর আবু ফরাহ নাসেরের কাছে জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি অস্বীকার করেন। তিনি বলেন এ ধরণের কিছু আমার জানা নেই।
এদিকে, আবু ফরাহ মো. নাসের অবসরে গেলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দুজন ডেপুটি গভর্নরের পদ খালি হবে। এসব পদে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে জ্যেষ্ঠ নির্বাহী পরিচালক মো. খুরশীদ আলম, আবুল বসর ও প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. মো. হাবিবুর রহমান নাম প্রস্তাব করা হয়েছে বলে জানিয়েছে একটি সূত্র। এর বাইরে সাবেক নির্বাহী পরিচালকদের মধ্যে মো. আওলাদ হোসেন চৌধুরী, মো. সিরাজুল ইসলাম ও এএফএম শাহীনুল ইসলামের নামও ডেপুটি গভর্নর পদে আলোচনায় আছেন।