২৯৮ আসনে নৌকা ২২৪ স্বতন্ত্র ৬২ জাপা ১১ অন্যান্য ১

  নিজস্ব প্রতিবেদক
  প্রকাশিতঃ সকাল ১০:০৯, সোমবার, ৮ জানুয়ারি, ২০২৪, ২৪ পৌষ ১৪৩০

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয় অর্জন করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। এর মাধ্যমে টানা চতুর্থবারের মতো সরকার গঠন করতে যাচ্ছে শেখ হাসিনার দলটি।

রোববার (৭ জানুয়ারি) রাতে ঘোষিত ২৯৮ আসনের ফলাফলে ২২৪টিতে আওয়ামী লীগ, ১১টিতে জাতীয় পার্টি, ৬২টিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ১টিতে অন্যান্যরা জয়ী হয়েছে।

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে সবচেয়ে বড় চমক হলো স্বতন্ত্র প্রার্থী, যাদের বেশির ভাগই আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন।

কে কোন আসনে জয় পেলেন

গোপালগঞ্জ-৩ (টুঙ্গিপাড়া-কোটালীপাড়া) আসনে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি নৌকা প্রতীকে ২ লাখ ৪৯ হাজার ৯৬২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী এনপিপি প্রার্থী শেখ আবুল কালাম আম প্রতীকে ৪৬০ ভোট পেয়েছেন। আরেক প্রার্থী জাকের পার্টির মাহাবুর মোল্যা গোলাপ ফুল প্রতীকে পেয়েছেন ৪২৫ ভোট।

গোপালগঞ্জ-২ আসনে জয় পেয়েছেন নৌকার প্রার্থী শেখ ফজলুল করিম সেলিম। তিনি ২ লাখ ৯৫ হাজার ২৯১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির কাজী শাহীন লাঙ্গল প্রতীকে পেয়েছেন ১ হাজার ৫১৪ ভোট।

ঢাকা-১ আসনে নৌকার প্রার্থী ও প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান (সালমান এফ রহমান) বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তিনি ভোট পেয়েছেন ১ লাখ ৫০ হাজার ৫টি। তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী লাঙ্গল প্রতীকে জাতীয় পার্টির প্রার্থী সালমা ইসলাম পেয়েছেন ৩৪ হাজার ৯৩০ ভোট।

ঢাকা-৩ আসনে জয় পেয়েছেন নৌকার প্রার্থী নসরুল হামিদ বিপু। ১২৬ কেন্দ্রের প্রাপ্ত ফলাফল অনুযায়ী তিনি পেয়েছেন ১ লাখ ৩২ হাজার ৭৩২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. মনির সরকার লাঙ্গল প্রতীকে ২ হাজার ৮৬৮ ভোট পেয়েছেন।

ঢাকা-১৩ আসনে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী জাহাঙ্গীর কবির নানক। এ আসনের ১৩৫টি কেন্দ্রে নৌকা প্রতীক নিয়ে জাহাঙ্গীর কবির নানক পেয়েছেন ৯০ হাজার ৭৮২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বিন্দ্বী ফুলের মালার প্রার্থী পেয়েছেন ১ হাজার ৫৩৬ ভোট।

ঢাকা-১৬ আসনে জয় পেয়েছেন নৌকার প্রার্থী মো. ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লাহ‌। তিনি ৬৫ হাজার ৬৩১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সালাউদ্দিন রবিন ঈগল প্রতীকে পেয়েছেন ৬ হাজার ৩১৪ ভোট। দুজনের ভোটের ব্যবধান প্রায় ৫৯ হাজার।

চট্টগ্রাম-১ আসনে মাহবুবুর রহমান রুহেল, চট্টগ্রাম-২ আসনে খদিজাতুল আনোয়ার সনি, চট্টগ্রাম-৩ আসনে মাহফুজুর রহমান মিতা, চট্টগ্রাম-৪ আসনে এস.এম আল মামুন, চট্টগ্রাম-৫ আসনে আনিছুল ইসলাম মাহমুদ ও চট্টগ্রাম-৬ আসনে বিজয়ী হয়েছেন নৌকার এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী।

চট্টগ্রাম-৭ আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি এই আসন থেকে ১ লাখ ৯৮ হাজার ৯৭৬ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামী ফ্রন্টের প্রার্থী অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ ইকবাল হাছান (মোমবাতি) পেয়েছেন ৯ হাজার ৩০১ ভোট। চট্টগ্রাম-৮ আসনে আবদুস ছালাম, চট্টগ্রাম-৯ আসনে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, চট্টগ্রাম-১০ আসনে মহিউদ্দিন বাচ্চু, চট্টগ্রাম-১১ আসনে এম এ লতিফ, চট্টগ্রাম-১২ আসনে মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী, চট্টগ্রাম-১৩ আসনে সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ, চট্টগ্রাম-১৪ আসনে নজরুল ইসলাম, চট্টগ্রাম-১৫ আসনে এম.এ মোতালেব সিআইপি আর চট্টগ্রাম-১৬ আসনে ঈগল প্রতীক নিয়ে জয়ী হয়েছেন মুজিবুর রহমান সিআইপি।

জয়পুরহাট-১ আসনে সামছুল আলম দুদু ও জয়পুরহাট-২ আসনে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন নৌকার প্রার্থী আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন। তিনি পেয়েছেন ১ লাখ ৫২ হাজার ৩৭৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম মাহফুজ চৌধুরী কাঁচি প্রতীকে পেয়েছেন ৩২ হাজার ২৫৭ ভোট।

সাতক্ষীরা-১ আসনে নৌকার প্রার্থী ফিরোজ আহমেদ স্বপন বিজয়ী হয়েছেন, সাতক্ষীরা-৪ আসনে বিজয়ী আতাউল হক দোলন। আসনের ১৪৩টি কেন্দ্রে তার প্রাপ্ত ভোট ১ লাখ ৪০ হাজার ৪৬। আর বিএনএম দলীয় নোঙর প্রতীকের প্রার্থী এইচএম গোলাম রেজা পেয়েছেন ৩৮ হাজার ৯৮৬ ভোট।

বরিশাল-২ আসনে বেসরকারিভাবে জয়ী হয়েছেন ওয়ার্কার্স পার্টির রাশেদ খান মেনন, ঝিনাইদহ-৪ আসনে আনোয়ারুল আজীম, ঝিনাইদহ-১ আসনে নৌকা প্রতীক নিয়ে আব্দুল হাই, কুড়িগ্রাম-১ আসনে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি পেয়েছেন ৮৮ হাজার ২৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাকেরপার্টির গোলাপফুল প্রতীকের প্রার্থী আব্দুল হাই পেয়েছেন ৫৯ হাজার ৭৫৬ ভোট।

বরিশাল-৩ আসনে বিজয়ী হয়েছেন জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী গোলাম কিবরিয়া টিপু। তিনি ৫২ হাজার ৫৫৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আতিকুর রহমান ট্রাক প্রতীকে পেয়েছেন ২৩ হাজার ৮৮৯ ভোট।

নোয়াখালী-৫ আসনে নৌকা প্রতীক নিয়ে বেসরকারিভাবে জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এ আসনে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের খাজা তানভীর আহমেদ। ফলাফলে দেখা গেছে, ওবায়দুল কাদের মোট ভোট পেয়েছেন ১ লাখ ৮১ হাজার ১৪৭টি। আর তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির খাজা তানভীর আহমেদ পেয়েছেন লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে ৯ হাজার ৭১৯ ভোট।

সুনামগঞ্জ-৩ আসনে জয়ী হয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। সুনামগঞ্জ-৪ আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের ড. মোহাম্মদ সাদিক বিজয়ী হয়েছেন। সর্বমোট ৯০ হাজার ৫৯০ ভোট পেয়েছেন তিনি। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ পেয়েছেন ৩১ হাজার ৭২১ ভোট।

নাটোর-৩ আসনে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বিজয়ী হয়েছেন। পলক নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ১ লাখ ৩৫ হাজার ৮০২ ভোট, স্বতন্ত্র প্রার্থী শফিকুল ইসলাম শফিক ঈগল প্রতীকে পেয়েছেন ৪২ হাজার ৯৯৭ ভোট।

নওগাঁ-৩ আসনে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের সৌরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী। ৪৩ হাজারের বেশি ভোটে স্বতন্ত্র প্রার্থী ছলিম উদ্দিন তরফদারকে হারিয়েছেন তিনি।

টাঙ্গাইল-৭ (মির্জাপুর) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী খান আহমেদ শুভ (নৌকা) বিপুল ভোটের ব্যবধানে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী ও আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতা এবং আটবারের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর এনায়েত হোসেন মন্টু। ফলাফলে দেখা গেছে, খান আহমেদ শুভ (নৌকা) পেয়েছেন ৮৭ হাজার ৮২৬ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থীর বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর এনায়েত হোসেন মন্টু (ট্রাক) পেয়েছেন ৫৫ হাজার ৫৪২ ভোট।

লালমনিরহাট-১ আসনে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোতাহার হোসেন। তিনি পেয়েছেন ৮৯ হাজার ৯০৩ ভোট। লালমনিরহাট-২ আসনে নূরজাহান আহমেদ জয়ী হয়েছেন (৯৭,২৪০) ও লালমনিরহাট-৩ আসনে মতিয়ার রহমান ৭৬ হাজার ৪০১ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন।

পটুয়াখালী-১ আসনে বিজয়ী হয়েছেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার। তিনি পেয়েছেন ৮১ হাজার ৫০৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থী নাসির উদ্দিন তালুকদার ডাব প্রতীকে পেয়েছেন ২৬ হাজার ৮৭৪ ভোট।

রাজশাহী-২ আসনে নৌকার বাদশাকে হারিয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী শফিকুর রহমান। কাঁচি মার্কা নিয়ে তিনি ভোট পেয়েছেন ৫৫ হাজার ১৪১টি। অপরদিকে তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বাংলাদেশের ওয়ার্কাস পার্টির ফজলে হোসেন বাদশা নৌকা মার্কা নিয়ে পেয়েছেন ৩১ হাজার ৪২৩ ভোট।

রংপুর-৪ (পীরগাছা-কাউনিয়া) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী টিপু মুনশি ৪৬ হাজার ৪৭২ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম জাতীয় পার্টির প্রার্থী মোস্তফা সেলিম বেঙ্গল পেয়েছেন ১৫ হাজার ৬৩১ ভোট।

কুমিল্লা-২ আসনে বিজয়ী নৌকার অধ্যক্ষ আবদুল মজিদ। কুমিল্লা-৯ আসনে পঞ্চমবার জয় পেলেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। ২ লাখ ৩৩ হাজার ৯৪৬ ভোট পেয়েছেন তিনি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের প্রার্থী মো. আবু বকর ছিদ্দিক চেয়ার প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৮ হাজার ২৬০ ভোট এবং জাতীয় পার্টির মো. গোলাম মোস্তফা কামাল লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৬ হাজার ১৫৯ ভোট।

রংপুর-১ (গঙ্গাচড়া-সিটি আংশিক) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আসাদুজ্জামান বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তিনি ৭৩ হাজার ৯২৭ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী মসিউর রহমান (রাঙ্গা) পেয়েছেন ২৪ হাজার ৩৩২ ভোট।

কিশোরগঞ্জ-৬ আসন থেকে বেসরকারিভাবে জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী নাজমুল হাসান পাপন। তিনি এই আসনে নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ১ লাখ ৯৮ হাজার ১৫৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামী ফ্রন্টের রুবেল হোসেন মোমবাতি প্রতীকে পেয়েছেন ৩ হাজার ২০৫ ভোট।

ফরিদপুর-৪ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও এমপি মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। নরসিংদী-৩ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী সিরাজুল ইসলাম মোল্লা ঈগল প্রতীকে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। আসনে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের প্রার্থী ফজলে রাব্বি খান। এর মধ্যে বিজয়ী সিরাজুল ইসলাম মোল্লা পেয়েছেন ৫৯ হাজার ২৯২ ভোট। আর আওয়ামী লীগের ফজলে রাব্বি খান পেয়েছেন ৪৩ হাজার ভোট।

হবিগঞ্জ-৪ আসনে ঈগল প্রতীক নিয়ে প্রায় দেড় লাখ ভোটের ব্যবধানে বেসরকারিভাবে জয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। এ আসনে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট মাহবুব আলী। সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী, ব্যারিস্টার সুমন পেয়েছেন ১ লাখ ৯৮ হাজার ভোট এবং তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মাহবুব আলী পেয়েছেন প্রায় ৪৭ হাজার ভোট।

জামালপুর-৩ আসনে বিজয়ী হয়েছেন মির্জা আজম। তিনি নৌকা প্রতীকে ২ লাখ ৭৭ হাজার ৪৪৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাপা মনোনীত শামছুল আলম লিফটন লাঙ্গল প্রতীকে ভোট পেয়েছেন ৭ হাজার ৪৯৬।

পাবনা-২ আসনে বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়েছেন নৌকার প্রার্থী আহমেদ ফিরোজ কবির। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নোঙ্গর প্রতীকের ডলি সায়ন্তনী পেয়েছেন মাত্র ৪ হাজার ৩৮২ ভোট।

পাবনা-৪ আসনে নৌকার প্রার্থী গালিবুর রহমান শরীফ ১ লাখ ৬৭ হাজার ৪৩৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র ঈগল মার্কার প্রার্থী পাঞ্জাব আলী বিশ্বাস পেয়েছেন ১৪ হাজার ৬৬৩ ভোট।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী মঈনউদ্দিন মঈন। তিনি কলার ছড়ি প্রতীকে ৮৪ হাজার ১৩৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। ঝিনাইদহ-৩ আসনে নৌকার প্রার্থী মেজর জেনারেল অব. সালাহউদ্দিন মিয়াজী বিজয় লাভ করেছেন। এ আসনে নৌকা পেয়েছে ৮ লাখ ৩০ হাজার ১৫ ভোট। আর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী ট্রাক মার্কা পেয়েছে ৬৪ হাজার ৯০৯ ভোট।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনে বিপুল ভোটের ব্যবধানে নৌকা প্রতীকের র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বেসরকারিভাবে জয়ী হয়েছেন। ১৯২ কেন্দ্র থেকে প্রাপ্ত ফলাফলে মোকতাদির চৌধুরী পেয়েছেন ১ লাখ ৫০ হাজার ৯৫৬ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কাঁচি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী ৬১ হাজার ৩৫৪ ভোট পেয়েছেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ আসনে বিজয়ী হয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী থেকে তিনি ২ লাখ ১৪ হাজার ভোট বেশি পেয়েছেন। এ আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক নিয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক পেয়েছেন ২ লাখ ২০ হাজার ৬৬৭ ভোট। এর বিপরীতে আম প্রতীকে ন্যাশনাল পিপলস পার্টির প্রার্থী শাহীন খান পেয়েছেন ৬ হাজার ৫৮৬ ভোট। আর ফুলের মালা প্রতীকে তরীকত ফেডারেশনের ছৈয়দ জাফরুল কুদ্দুছ পেয়েছেন ৪ হাজার ৫৭৪ ভোট।

খুলনা-৬ আসনে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. রশিদুজ্জামান। তিনি নৌকা প্রতীকে ১ লাখ ৩ হাজার ৩১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম ছিলেন ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী জি এম মাহবুবুল আলম। তিনি পেয়েছেন ৫০ হাজার ২৬১ ভোট।

মাদারীপুর-১ (শিবচর) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নূর-ই-আলম চৌধুরী লিটন বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। এ আসনে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির মো. মোতাহার হোসেন। নির্বাচনে ১ লাখ ৯৬ হাজার ৭৩১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী নূর-ই-আলম চৌধুরী লিটন। তার নিকটতম প্রার্থী মো. মোতাহার হোসেন সিদ্দীকী লাঙ্গল প্রতীকে পেয়েছেন ১ হাজার ৮২৬ ভোট।

শেরপুর-২ (নকলা-নালিতাবাড়ী) আসনে জাতীয় সংসদের উপনেতা মতিয়া চৌধুরী বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর থেকে ২ লাখ ৬ হাজার ভোট বেশি পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন তিনি। নৌকা প্রতীক নিয়ে মতিয়া চৌধুরী পেয়েছেন ২ লাখ ১২ হাজার ১৪২ ভোট। আর তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ মুহাম্মদ সাঈদ পেয়েছেন ৫ হাজার ৩৪২ ভোট।

সিলেট-১ (সদর) আসনে বিপুল ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হয়েছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি ১ লাখ ১৫ হাজার ৪৯২ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামী ঐক্যজোটের মিনার প্রতীকের প্রার্থী ফয়জুল হক পেয়েছেন ২ হাজার ১৮১ ভোট।

সিলেট-৬ আসনে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ও সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। তিনি ৫৭ হাজার ৭৭৮ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম স্বতন্ত্র প্রতিদ্বন্দ্বী ঈগল প্রতীকের প্রার্থী সরওয়ার হোসেন পেয়েছেন ৩৯ হাজার ৪৮৮ ভোট।

দিনাজপুর-৪ (খানসামা ও চিরিরবন্দর) আসনে ৩৪ হাজার ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। এতে চতুর্থবারের মতো বেসরকারিভাবে নির্বাচিত সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও বর্তমান সংসদ সদস্য আবুল হাসান মাহমুদ আলী। মাহমুদ আলী পেয়েছেন ৯৬ হাজার ৪৪৭ ভোট ও তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাক প্রতীকের তারিকুল ইসলাম তারিক পেয়েছে ৬২ হাজার ৪২৪ ভোট।

যশোর-৬ আসনে ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী খন্দকার আজিজুর রহমান (আজিজ) বিজয়ী হয়েছেন। এ আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে শাহীন চাকলাদার পেয়েছেন ৩৯ হাজার ২৬৯ ভোট। অন্যদিকে ৪৮ হাজার ৯৪৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন স্বতন্ত্র প্রার্থী খন্দকার আজিজুর রহমান।

বান্দরবানে বেসরকারিভাবে জয়ী হয়েছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বীর বাহাদুর উশৈসিং। তিনি ১ লাখ ৭২ হাজার ২৪০ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী এ টি এম শহীদুল ইসলাম পেয়েছেন ১০ হাজার ৪৩ ভোট।

কুষ্টিয়া-২ আসনে ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কামারুল আরেফিনের কাছে হেরে গেলেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের সভাপতি ও নৌকার প্রার্থী হাসানুল হক ইনু। ৫০ কেন্দ্র থেকে প্রাপ্ত ফলাফলে কামারুল পেয়েছেন ৪১ হাজার ২৮২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইনু পেয়েছেন ৩৬ হাজার ৭৩১ ভোট।

ভোলা-১ আসনে বিপুল ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হয়েছেন তোফায়েল আহমেদ। আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের এ প্রার্থী পেয়েছেন ১ লাখ ৮৫ হাজার ১৫২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির প্রার্থী মো. শাহজাহান মিয়া লাঙ্গল প্রতীকে পেয়েছেন মাত্র ৫ হাজার ৫১৯ ভোট।

সিরাজগঞ্জ-৪ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিকুল ইসলাম শফি বেসরকারিভাবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি মোট ভোট পেয়েছেন ২ লাখ ২০ হাজার ১৫। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিলটন প্রামানিক (লাঙ্গল) পেয়েছেন ৭ হাজার ৮৮ ভোট।

রংপুর-৩ আসনে বেসরকারিভাবে জয়ী হয়েছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হলেন তৃতীয় লিঙ্গের স্বতন্ত্র প্রার্থী আনোয়ারা ইসলাম রানী। জিএম কাদের লাঙ্গল প্রতীকে ৮১ হাজার ৮৬১ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে জয়ী হয়েছেন। তার নিকতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আনোয়ারা ইসলাম রানী পেয়েছেন ২৩ হাজার ৩২৬ ভোট।

রাজবাড়ী-১ (সদর-গোয়ালন্দ) আসনে নৌকা প্রতীকে ৯৭ হাজার ৩৪ ভোট পেয়ে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী কাজী কেরামত আলী বিজয়ী হয়েছেন। আর রাজবাড়ী-২ (পাংশা, কালুখালী, বালিয়াকান্দি) আসনে নৌকা প্রতীকে ২ লাখ ৩১ হাজার ৮৮৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মো. জিল্লুল হাকিম।

ফরিদপুর-৩ আসনের মানুষের মন জয় করে রীতিমতো দাপট দেখিয়ে নৌকার শামীম হককে হারিয়ে দিলেন ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে আজাদ। প্রাপ্ত ফলে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীকে ৫৯ হাজার ৯ ভোটের ব্যবধানে হারিয়েছেন তিনি।

নেত্রকোনা-১ (দুর্গাপুর-কলমাকান্দা) আসনের ১২৪টি কেন্দ্রের সব কটিতেই আওয়ামী লীগের( নৌকা) প্রার্থী মোস্তাক আহমেদ রুহী ১ লাখ ৫৯ হাজার ১৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী জান্নাত আরা ঝুমা পেয়েছেন ২৫ হাজার ২১৯ ভোট।

নেত্রকোনা-২ (নেত্রকোনা বারহাট্টা) আসনে নৌকার প্রার্থী সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আশরাফ আলী খান খসরু এমপি বিজয়ী হয়েছেন। তিনি ১৭২টি কেন্দ্রের সব কটিতেই ১ লাখ ৫ হাজার ৩৫৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক উপমন্ত্রী আরিফ খান জয় পেয়েছেন ৮৬ হাজার ২৮৭ ভোট।

নেত্রকোনা-৩ (কেন্দুয়া আটপাটা) আসনের ১৪৯টি কেন্দ্রের সব কটি কেন্দ্রেই স্বতন্ত্র প্রার্থী ইফতেখার উদ্দিন পিন্টু ৭৬ হাজার ৮০৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল এমপি পেয়েছেন ৭৪ হাজার ৫৫০ ভোট।

নেত্রকোনা-৪ (মোহনগঞ্জ খালিয়াজুরী মদন) আসনে নৌকার প্রার্থী সাজ্জাদুল হাসান এমপি পেয়েছেন ১ লাখ ৮৮ হাজার ৬৮ ভোট, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাপার লিয়াকত আলী খান পেয়েছেন ৫ হাজার ৭৫৯ ভোট।

নেত্রকোনা-৫ (পূর্বধলা) আসনে নৌকার প্রার্থী আহমেদ হোসেন ৮১টি কেন্দ্রের সব কটিতেই ৭৯ হাজার ৬৪৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম স্বতন্ত্র প্রার্থী মাজাহারুল ইসলাম সোহেল ফকির পেয়েছেন ২৭ হাজার ২১৪ ভোট।

ময়মনসিংহ-২ (ফুলপুর-তারাকান্দা) আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ ২ লাখ ৫১ হাজার ৪১৬ ভোটের ব্যবধানে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী ঈগল প্রতীকের শাহ শহীদ সারোয়ার পেয়েছেন মাত্র ১২ হাজার ১৫ ভোট।

কুমিল্লা-৩ (মুরাদনগর) আসনে বিজয়ী হয়েছেন ঈগল প্রতীকের প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম সরকার। তিনি পেয়েছেন ৮৩ হাজার ৯৭১ ভোট। আর তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী এই আসনের দুবারের সাংসদ আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী নৌকা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৭২ হাজার ১৪ ভোট।

মেহেরপুর-১ (সদর, মুজিবনগর) আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ও জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এবং মেহেরপুর-২ (গাংনী) আসনে ডা. আবু সালেহ মোহাম্মদ নাজমুল হক সাগর বিজয়ী হয়েছেন। তাদের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আওয়ামী লীগেরই স্বতন্ত্র প্রার্থী।

মৌলভীবাজার-১ আসনে আওয়ামী লীগের নৌকার প্রার্থী মো. শাহাব উদ্দিন ১ লাখ ৩৬ হাজার ৩০৬ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির প্রার্থী আহমেদ রিয়াজ পেয়েছেন ৩ হাজার ৯৮ ভোট।

মৌলভীবাজার-২ আসনে শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল ৭২ হাজার ৭১৮ ভোট পেয়ে জয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী একেএম সফি আহমদ সলমান পেয়েছেন ১৫ হাজার ৫৫২ ভোট।

মৌলভীবাজার-৩ আসনে মো. জিল্লুর রহমান ১ লাখ ৬৭ হাজার ৮৪৬ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী জাতীয় পার্টির প্রার্থী মো. আলতাফুর রহমান পেয়েছেন ২ হাজার ৬৯৮ ভোট।

মৌলভীবাজার-৪ আসনে মো. আব্দুস শহীদ ২ লাখ ১২ হাজার ৪৯১ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আব্দুল মুহিত হাসানী পেয়েছেন মাত্র ৫ হাজার ৩৯০ ভোট।

বাগেরহাট-৩ আসনে চতুর্থবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার। নৌকা প্রতীক নিয়ে তিনি এ আসনে ভোট পেয়েছেন ৭৫ হাজার ৯৬৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী ইদ্রিস আলী ইজারাদার পেয়েছেন ৫৪ হাজার ৬৭৮ ভোট।

মানিকগঞ্জ-২ (সিঙ্গাইর, হরিরামপুর ও সদরের একাংশ) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী (ট্রাক প্রতীক) দেওয়ান জাহিদ আহমেদ টুলুর কাছে হেরে গেলেন তিনবারের এমপি কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগম। এ আসেন মোট ১৯৩টি ভোটকেন্দ্রে ট্রাক প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী দেওয়ান চাহিদ আহমেদ টুলু পেয়েছেন ৮৪ হাজার ৫২৫ ভোট। অন্যদিকে নৌকা প্রতীকে মমতাজ বেগম পেয়েছেন ৭৮ হাজার ২৬৯ ভোট।

যশোর-১ আসনে ১ লাখ ৫ হাজার ৪৬৬ ভোট পেয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন নৌকার প্রার্থী শেখ আফিল উদ্দীন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল আলম লিটন পেয়েছেন ১৯ হাজার ৪৭৭ ভোট। অপরদিকে লাঙ্গল প্রতীকের আক্তারুজ্জামান পেয়েছেন ২ হাজার ১৫১ ভোট।

যশোর-১ আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী শেখ আফিল উদ্দিন ১ লাখ ৫ হাজার ৪৬৬ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র ট্রাক প্রতীকের প্রার্থী আশরাফুল আলম লিটন পেয়েছেন ১৯ হাজার ৪৭৭ ভোট।

যশোর-২ আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মো. তৌহিদুজ্জামান ১ লাখ ৬ হাজার ৩৫৭ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র ট্রাক প্রতীকের প্রার্থী মনিরুল ইসলাম পেয়েছেন ৭৫ হাজার ৮৮২ ভোট।

যশোর-৩ আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী কাজী নাবিল আহমেদ ১ লাখ ২১ হাজার ৭২০ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র ঈগল প্রতীকের প্রার্থী মোহিত কুমার নাথ পেয়েছেন ৬৪ হাজার ৫১১ ভোট।

যশোর-৪ আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী এনামুল হক বাবুল ১ লাখ ৮১ হাজার ২৯৫ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী জহুরুল হক পেয়েছেন ১০ হাজার ৩৪৬ ভোট।

যশোর-৫ আসনে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র ঈগল প্রতীকের প্রার্থী ইয়াকুব আলী ৭৭ হাজার ৪৬৮ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী স্বপন ভট্টাচার্য পেয়েছেন ৭২ হাজার ৩৩২ ভোট।

যশোর-৬ আসনে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র ঈগল প্রতীকের প্রার্থী মো. আজিজুল ইসলাম ৪৮ হাজার ৯৪৭ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী শাহীন চাকলাদার পেয়েছেন ৩৯ হাজার ২৬৯ ভোট।
 

Share This Article


অর্থ আত্মসাৎ মামলায় জামিন পেলেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস

শ্রমিকদের ন্যায্য পাওনা বঞ্চিত করলে ছাড় নয়: প্রধানমন্ত্রী

ব্যাংকক থেকে দেশে ফিরলেন প্রধানমন্ত্রী

সরকার আইনের সুশাসন প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর: শেখ হাসিনা

বিএনপিকে গণতান্ত্রিক দল মনে করি না : ওবায়দুল কাদের

রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানবিরোধী নয় : হাইকোর্ট

ঢাকা-ব্যাংকক আলোচনায় থাকছে যেসব প্রসঙ্গ

কাতারের সঙ্গে ১০ চুক্তি-সমঝোতা সই

ঐতিহাসিক প্রথম সরকারি সফরে থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী

সনদ জালিয়াতিকাণ্ডে কারিগরি শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান ওএসডি

অভিযোগের বিষয়ে মুখ খুললেন বেনজীর

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আরও ৭ দিন বন্ধের দাবি