কত টাকা মুক্তিপণ দিয়ে ছাড়া পেলেন নাবিকরা

  নিজস্ব প্রতিবেদক
  প্রকাশিতঃ সকাল ১১:৩৯, রবিবার, ১৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১ বৈশাখ ১৪৩০

অবশেষে সোমালিয়ার উপকূলে জিম্মি ২৩ নাবিকসহ বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ ৩২ দিন পর মুক্তি পেয়েছে। রোববার (১৪ এপ্রিল) রাত ৩টা ৮ মিনিট জাহাজটি থেকে দস্যুরা নেমে যায়।

জানা যায়, সোমালিয়ার উপকূল থেকে মুক্ত হয়ে জাহাজটি আরব আমিরাতের দিকে রওনা দিয়েছে। কিন্তু কত টাকা মুক্তিপণ দিতে হয়েছে সেই প্রশ্নের কোনো উত্তর দেয়নি মালিকপক্ষ।

সোমালিয়ার স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে- মুক্তিপণের পরিমাণ ছিল ৫ মিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ৫৫ কোটি টাকা। সেখানকার পান্টল্যান্ড মিরর নামের একটি সংবাদ মাধ্যম ডলারের এই অঙ্ক উল্লেখ করে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

তবে মালিক পক্ষের আরেকটি সূত্র মুক্তিপণ বাবদ দেওয়া টাকার অঙ্ক আরও কম বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন।

জলদস্যুদের সঙ্গে বোঝাপড়া চূড়ান্ত হওয়ার কথা স্বীকার করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করেছে কেএসআরএম গ্রুপের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহরিয়ার জাহান রাহাত।

ফেসবুক পোস্টে শাহরিয়ার জাহান রাহাত উল্লেখ করেন, ‘সোমালিয়ান জলদস্যুদের হাতে জিম্মি থাকা ২৩ নাবিকসহ এমভি আবদুল্লাহ জাহাজ মুক্ত হয়েছে। নাবিকরা সবাই সুস্থ আছেন। শিগগির তারা দেশে ফিরবেন। ঈদ মোবারক। শুভ নববর্ষ।’ এই পোস্টেও মুক্তিপণের বিষয়টি উল্লেখ করেননি তিনি।

মালিকপক্ষের মুখপাত্র ও মিডিয়া অ্যাডভাইজার মিজানুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘মুক্তিপণের বিষয়টি কৌশলগত কারণে আমরা বলতে পারব না। দয়া করে এটা নিয়ে প্রশ্ন করবেন না। তবে আজ কেএসআরএম করপোরেট কার্যালয়ে দুপুর ১২টায় সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। সেখানে আমরা আপনাদের অন্য প্রশ্নের জবাব দেব।’

তিনি বলেন, জাহাজটি মুক্ত করা হয়েছে। এটি এখন আরব আমিরাতের দিকে যাচ্ছে। সেখানে পণ্য খালাস করবে আর নাবিকরা দেশে ফিরে আসবে শিগগির।

গত ১২ মার্চ ২৩ নাবিকসহ এমভি আবদুল্লাহ জাহাজকে জিম্মি করে সোমালিয়ার জলদস্যুরা। এরপর তারা মুক্তিপণ দাবি করে। বিষয়টি মালিকপক্ষ সরাসরি স্বীকার না করলেও মুক্তিপণ দিয়েই জাহাজটিকে মুক্ত করেছে তারা।

১৪ বছর আগে একই মালিকের আরেকটি জাহাজ এমভি জাহান মণিকেও একইভাবে মুক্ত করে কেএসআরএম গ্রুপ।

Share This Article