ইসলামী ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে রপ্তানি কমেছে ৭৭৪১ কোটি

  বিশেষ প্রতিবেদক
  প্রকাশিতঃ রাত ১০:১৮, রবিবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০২৩, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩০


চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে দেশের ইসলামী ধারার ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে কম রপ্তানি করেছেন ব্যবসায়ীরা। যার ফলে ইসলামী ব্যাংকগুলোর রপ্তানি আয় কমেছে। জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর এই তিন মাসে ৭৭৪১ কোটি টাকার কম রপ্তানি করেছে ইসলামী ধারার ব্যাংকগুলোর যা আগের প্রান্তিকের তুলনায় ২০.৬০ শতাংশ কম। বাংলাদেশ ব্যাংকের সাম্প্রতিক এক হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

তথ্য মতে, আলোচিত সময়ে চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে ইসলামী ধারার ব্যাংকগুলো মোট রপ্তানি করে ৩৭৫৭৫ কোটি টাকার। তৃতীয় প্রান্তিকে যা কমে দাঁড়িয়েছে ২৯৮৩৫ কোটি টাকায়। তবে ২০২২ সালের একই সময়ের তুলনায় রপ্তানি কমেছে ৩৩.৬৬ শতাংশ। টাকার তুলনায় যা ১৫১৩৫ কোটি টাকা।

রপ্তানির পাশাপাশি আমদানি বাণিজ্যও কম হয়েছে এ ব্যাংকগুলোতে। তৃতীয় প্রান্তিকে আমদানি কম হয়েছে ৩৯২ কোটি টাকার যা আগের প্রান্তিকের তুলনায় ১৭.৬৪ শতাংশ কম। আলোচিত সময়ে আমদানি হয়েছে ৩৯১৯৩ কোটি টাকার। আগের বছরের একই প্রান্তিকের তুলনায় ২৬৬৭০ কোটি টাকার কম পণ্য আমদানি হয়েছে।

আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য কম হলেও তৃতীয় প্রান্তিকে আমানত ও ঋণে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ইসলামী ধারার ব্যাংকগুলোতে। এ খাতের ব্যাংকিং ব্যবস্থায় সেপ্টেম্বর শেষে আমানত দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ৩১৯৮৯ কোটি টাকায়। যা আগের প্রান্তিক এপ্রিল থেকে জুনের চেয়েও ৩৯৮৯ কোটি টাকা বেশি। ২০২২ সালের তৃতীয় প্রান্তিকের চেয়ে ১০৬১৪ কোটি টাকা বেড়েছে আমানত।

এরমধ্যে সম্পূর্ণ ইসলামি ১০টি ব্যাংকের আমানত দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৯৫১৪২ কোটি টাকা। প্রথাগত ব্যাংকের ইসলামিক ব্যাংকিং শাখার আমানত দাঁড়িয়েছে ১৭৪৬৪ ও ইসলামিক ব্যাংকিং উইন্ডোর আমানত দাঁড়িয়েছে ১৯৩৮৩ কোটি টাকা। আমানত গ্রহণের হারে এগিয়ে আছে ইসলামী ব্যাংক। এ ব্যাংকটি মোট আমানতের ৩৪.৫৪ শতাংশ সংগ্রহ করেছে। এরপরের অবস্থানে ছিল এক্সিম ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামি ব্যাংক, আল-আরাফা ইসলামি ব্যাংক।

ঋণ প্রদানও বেড়েছে ৭৫৯৫ কোটি টাকা। সেপ্টেম্বর শেষে এ ধারার ব্যাংকগুলোর ঋণ প্রদান বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ২৯০৭১ কোটি টাকা। আগের বছরের একই প্রান্তিকের তুলনায় ৩৭৭৬৯ কোটি টাকা বেড়েছে ঋণ প্রদান। ব্যাংকিং খাতের মোট ২৮ শতাংশ ঋণ ও বিনিয়োগ প্রদান করেছে ইসলামী ধারার ব্যাংকখাত। ফলে এ খাতের ব্যাংকগুলোর আমানত ও বিনিয়োগ অনুপাত হয়েছে শতকরা ৯১ টাকা। এরমধ্যে ইসলামি ব্যাংকগুলো বিনিয়োগ করেছে ৪ লাখ ২২৭০ কোটি টাকা এবং অন্যান্য ব্যাংকের ইসলামিক শাখা ও উইন্ডোগুলোর মাধ্যমে বিনিয়োগ হয়েছে ২৬৮০২ কোটি টাকা।

তবে তৃতীয় প্রান্তিকে এসে ইসলামী ব্যাংকগুলোর অতিরিক্ত তারল্য কমে দাঁড়িয়েছে ৭৭৬৭ কোটি টাকায়। যা আগের প্রান্তিকে ছিল ৮৬৯০ কোটি টাকা। অর্থাৎ মাত্র তিন মাসে ব্যাংকগুলোর অতিরিক্ত তারল্য কমেছে ৯২৩ কোটি টাকা। আগের বছরের তুলনায় অতিরিক্ত তারল্য কমেছে ৯৭৫৮ কোটি টাকা। তবে এ খাতের ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে প্রবাসী আয় এসেছে সবচেয়ে বেশি। জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর এ তিন মাসে ২৮০৪৭ কোটি টাকা বেড়েছে রেমিট্যান্স। যা আগের প্রান্তিকে ছিল ২২১৯২ কোটি টাকা।
এদিকে তিন মাসে প্রথাগত ব্যাংকের ইসলামিক ব্যাংকিংসহ ইসলামী ধারার শাখা বেড়েছে মাত্র ৭টি। আগের প্রান্তিকে ১৬৯৪ টি শাখা থেকে বেড়ে সেপ্টেম্বর শেষে দাঁড়িয়েছে ১৭০১ টি। এক বছরের ব্যবধানে শাখা বেড়েছে ৭৩ টি। এসব শাখায় সর্বমোট ৫০১৪৬ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী চাকুরিরত রয়েছেন। যা আগের প্রান্তিকের তুলনায় বেড়েছে মাত্র ১২৭ জন।

সর্বশেষ তথ্যমতে, দেশে এখন পর্যন্ত ১০টি ইসলামিক ব্যাংকের ১৬৭১টি শাখা রয়েচে। এছাড়া প্রথাগত ব্যাংকের ইসলামিক ব্যাংকিং শাখা রয়েছে ১৫টি ব্যাংকের ৩০টি। পাশাপাশি ১৬ টি সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকের ইসলামিক উইন্ডো রয়েছে ৬১৫টি।
প্রতিবেদনে দেওয়া তথ্যমতে, সেপ্টেম্বর শেষে দেশের প্রথাগত ব্যাংকিং খাতের আমানত দাঁড়িয়েছে ১৬ লাখ ২৩১৩৯ কোটি টাকা। এ ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগ হয়েছে ১৫ লাখ ৩২৫১৮ কোটি টাকা। ইসলামী ধারার বাইরে ব্যাংকখাতে রেমিট্যান্স এসেছে ৫৩৬৪০ কোটি টাকা। অতিরিক্ত তারল্য রয়েছে ব্যাংকগুলোর ১ লাখ ৭৪৪৫২ কোটি টাকা। প্রথাগত ব্যাংকগুলোর সারাদেশে মোট ১১২১৯টি শাখা রয়েছে।

Share This Article


মঙ্গলবার দর পতনের নেতৃত্বে প্রিমিয়ার ব্যাংক

মঙ্গলবার দর বৃদ্ধির নেতৃত্বে এপেক্স ট্যানারি

মঙ্গলবার লেনদেনের নেতৃত্বে সোনালী আঁশ

সোমবার ব্লক মার্কেটে লেনদেনের নেতৃত্বে আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ

সোমবার দর পতনের নেতৃত্বে এশিয়া প্যাসিফিক জেনারেল ইন্সুরেন্স

সোমবার দর বৃদ্ধির নেতৃত্বে জেএমআই সিরিঞ্জ

সোমবার লেনদেনের নেতৃত্বে এশিয়াটিক ল্যাবরটরিজ

রোববার ব্লক মার্কেটে লেনদেনের নেতৃত্বে লাভেলো আইসক্রিম

রোববার দর পতনের নেতৃত্বে এডিএন টেলিকম

রোববার দর বৃদ্ধির নেতৃত্বে বিডি থাই এ্যালুমিনিয়াম

রোববার লেনদেনের নেতৃত্বে মালেক স্পিনিং

দাবদাহে ঢাকায় বছরে ক্ষতি ২৭০০ কোটি ডলার