ঢাকা-ব্যাংকক আলোচনায় থাকছে যেসব প্রসঙ্গ

ব্যাংককে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী শ্রেথা থাভিসিনের মধ্যে শীর্ষ বৈঠকের মূলে থাকবে আসিয়ান ইস্যু। জোটে যোগদানের প্রথম দফায় আগামী অক্টোবরের সম্মেলনের আগে সেক্টরাল সংলাপের অংশীদারিত্ব পেতে চায় ঢাকা।

এছাড়া আগামীকাল শুক্রবার আলোচনায় উপকূলীয় শিপিং চালুসহ থাইল্যান্ডের সঙ্গে যোগাযোগ বৃদ্ধির বিষয়টিও থাকছে।

বাংলাদেশ দক্ষিণ ও পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ আরও সম্প্রসারণ করতে চাইছে। সে হিসেবে ঢাকা ১০টি দেশের আঞ্চলিক অর্থনৈতিক জোট আসিয়ানের সদস্য হতে চায়।

বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অক্টোবরে ৪৪তম সম্মেলনের আগে সেক্টরাল ডায়ালগ পার্টনারশিপে যোগ দিতে কাজ করছে।

পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীকে জোটভুক্তির ব্যাপারে বলবেন। থাইল্যান্ড ছাড়াও অন্য দেশগুলোর সঙ্গে যখন আমরা আলাদা আলাদাভাবে আলোচনা করি, সবাই আমাদের জোটভুক্তির পক্ষে আছে। কিন্তু এই প্রক্রিয়াটা একটু দেরিই হচ্ছে। আমরা এবার আবারও জোটভুক্তির ব্যাপারে বলব।’

আসিয়ানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়লে ভূ-রাজনীতির পাশাপাশি বাণিজ্য-বিনিয়োগ, প্রতিরক্ষা ও যোগাযোগসহ নানা ক্ষেত্রে জোটভুক্ত দেশগুলোর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নে বহুমাত্রিকতা পাবে বাংলাদেশ। এ ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারে থাইল্যান্ড।

এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘কানেক্টিভিটি ইজ প্রোডাক্টিভিটি। আমরা যদি আসিয়ানের মতো একটা বড় অর্থনৈতিক ব্লকে যোগ দিতে পারি, তাহলে আমাদের দ্বিগুণ করের বিষয়টি থাকবে না। তখন বিনিয়োগ-বাণিজ্যের সুযোগ অনেক বৃদ্ধির সম্ভাবনা আছে।’

মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ভিয়েতনাম, ব্রুনাই, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, ফিলিপাইন, কম্বোডিয়া ও লাওসসহ এ জোটের অন্যতম সদস্য মিয়ানমার। রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে তাই জোটে থেকে আরও সোচ্চার ভূমিকার পরিকল্পনা করছে ঢাকা।

আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক ইমতিয়াজ আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘পার্টনারশিপ হওয়া ভালো। আমি মনে করি, রোহিঙ্গার ব্যাপারে তারা যদি জোরালো পদক্ষেপ নিতে পারে, সেটাও আমাদের জন্য ভালো।’

চীন, ভারত বা রাশিয়ার পরে রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে বড় ভূমিকা রাখতে পারে আসিয়ান। তাই ঢাকা মনে করে আসিয়ানের সঙ্গে সম্পর্ক যত ঘনিষ্ঠ হবে মিয়ানমার তত চাপে পড়বে।